বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল, বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। কিন্তু তার মাঝেও বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ছুটে এসে হাজারো পর্যটক। লাল পতাকা বা লাইফ গার্ড কর্মীদের নির্দেশনা অমান্য করে সমুদ্রস্নানে নেমে পড়ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। তবে সার্বক্ষনিক টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা।
রোববার (০২ অক্টোবর) দুপুরে দেখা যায়, “সাগর উত্তাল, বিশাল বিশাল ঢেউ আঘাত করছে উপকূলে। রাতে বৃষ্টি হলে সকাল থেকে আর বৃষ্টির দেখা নেই। তবে মাঝে মাঝে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হচ্ছে। এরই মধ্যে সৈকত শহর কক্সবাজারে ভিড় করেছে হাজারো পর্যটক। কেউ এসেছেন ২ দিনের ছুটিতে, আবার কেউ এসেছেন ৩ দিনের ছুটিতে।”
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক ইয়াছিন আহমেদ বলেন, ৩ দিনের ছুটিতে ৪ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ভ্রমনে আসা। কিন্তু সাগর উত্তাল হবার কারণে গোসলে নামছি না। দূর থেকে দেখে সমুদ্র উপভোগ করছি।
আরেক পর্যটক মোহাম্মদ কাদের বলেন, ৪ দিনের ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসা। তবে হোঁট বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে গা ভাসিয়ে আনন্দ করতে পারছি না।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সৈকতে সবকটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। এর মাঝে উত্তাল ঢেউয়ে মেতেছেন ভ্রমনপিপাসুরা। তবে অনেক জানেন না লাল পতাকা বা বৈরী আবহাওয়ার বিষয়টি।
আব্দুল কাইয়ুম নামের পর্যটক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার বার্তাটি জানতাম না। তাই সমুদ্রস্নানে মেতে আছি। এখন জানতাম পারলাম, উঠে যাব।
আরেক পর্যটক শিহাব খান বলেন, আনন্দ করতে এসেছি আনন্দ করছি। লাল পতাকা বা বিশাল ঢেউ কিছু হবে না।
ছুটিতে এসে পর্যটকরা ভুলে গেছে সতর্ক বার্তা বা নির্দেশনা। তারপরও পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকিং ও টহল দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তারা।
সী সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার ফিল্টিং ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণ সাগর প্রচন্ড উত্তাল। সৈকতের সবকটি পয়েন্টে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে এবং পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে সতর্ক করা হচ্ছে। তবে অনেক পর্যটক তা মানছেন না। চেষ্টা করছি, আগত পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে সব্বোর্চ নিরাপত্তা দিতে। সার্বক্ষনিক ২৭ জন লাইফ গার্ড ও ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস কে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে চলছে সপ্তাহব্যাপি পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। যার কারণে কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটকের আগমন
পাঠকের মতামত